ঢাকা , সোমবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৫ , ১৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
অসময়ে বৃষ্টি রাণীশংকৈলে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি,কৃষকের মুখে হতাশার ছাপ ফুলবাড়ী টানা তিনদিনের ঝড়োবৃষ্টিপাতে ধান ও আগাম সবজির ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি চট্টগ্রামে বিপুল পরিমান গাঁজাসহ মাদক কারবারি সালমান আটক টিকা প্রদানে সারাদেশে সবচেয়ে এগিয়ে রাজশাহী বিভাগ প্রত্যেক পুলিশ সদস্যই হবে জনগণের আস্থার প্রতীক, আইজিপি বাহারুল আলম রাজশাহী নগর বিএনপির নবনির্বাচিত সভাপতির সঙ্গে আল মামুনের সৌজন্য সাক্ষাৎ গাজীপুর থেকে অপহৃত কলেজছাত্রী উদ্ধার, মূলহোতা শাওন গ্রেফতার ওএমএস বিক্রি বন্ধ, কর্তৃপক্ষের গাফিলতির অভিযোগ অসহায় মানুষের দীর্ঘশ্বাস পরিবেশকে প্রভাবমুক্ত রেখে সমন্বিত যোগাযোগ ব্যবস্থা তৈরির আহ্বান দমদমে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ মেক্সিকোয় ভয়াবহ বিস্ফোরণ! সোনোরার সুপারমার্কেটে মৃত্যু ২৩ শাহরুখের জন্মদিনে সারপ্রাইজ উপহার, অবশেষে প্রকাশ্যে এল 'কিং'-এর টিজার! ১২ কেজি এলপিজির দাম কমলো ২৬ টাকা বাবরের আরেকটি রেকর্ডের দিনে সিরিজ জিতলো পাকিস্তান রাশিয়ার রাতভর আক্রমণে ইউক্রেনের ৬০ হাজার মানুষ বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন ফুলবাড়ী ২৯ বিজিবি’র এক মাসের অভিযানে সাড়ে ২৭ লাখ টাকার মূল্যের মাদকদ্রব্যসহ চোরাচালানী পণ্য জব্দ, আটক ১ স্বরাষ্ট্র-পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অনুমতি দিলে জাকির নায়েক আসবেন: ধর্ম উপদেষ্টা ১০ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করলো বিএনপি রোজের কোন কোন ওষুধের কারণেই চরম ক্ষতি হচ্ছে লিভারের শাহরুখের সঙ্গে একরাত ঘুমোতে চাই: দেবশ্রী

তানোরে বিলুপ্তির পথে বাঁশ ও বেত শিল্প

  • আপলোড সময় : ২২-০৬-২০২৫ ০১:৩৬:০০ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২২-০৬-২০২৫ ০১:৩৬:০০ অপরাহ্ন
তানোরে বিলুপ্তির পথে বাঁশ ও বেত শিল্প তানোরে বিলুপ্তির পথে বাঁশ ও বেত শিল্প
বাঁশ বাঙালি সংস্কৃতির একটি বড় অংশ। বাঁশ-বেতের সামগ্রী ছাড়া একটা সময় বাঙলা বর্ষবরণ উদযাপন হতো না। বাড়ির পাশে বাঁশঝাড় বেত বনের ঐতিহ্য ছিল গ্রাম বাংলার সংস্কৃতির রূপ। এক সময় বাংলার ঘরে ঘরে তৈরি হতো বাঁশ ও বেতের পণ্য। অনেকে পরিবার আবার এই শিল্প পণ্য তৈরি করে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতো। গ্রাম বাংলার অনেক দরিদ্র পরিবারের উপার্জনের একমাত্র অবলম্বন ছিলো এই শিল্প। কিন্তু বর্তমানে জনজীবন থেকে সেইসব হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী শিল্প। এখন সেই শিল্পের জায়গায় দখল করে নিয়েছে প্লাস্টিক পণ্য। তাই বলা যেতে পারে সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে টিকতে না পেরে শিল্পের ঠিকানা এখন প্রায় জাদুঘরে।

এক সময় ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পল্লিতে বাঁশের চটা দিয়ে চাটাই, কুলা, ডালা, চাঙারি, টুকরি, চালনি, খলই, পলই, ঝুড়ি, খাচি, গুমাইসহ বিভিন্ন জিনিস তৈরি করা হতো। এ সকল পণ্য তৈরিতে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও কাজে সামিল হতো। হাট বাজারের পাশাপাশি বাড়ি বাড়ি ঘুরে ফেরি করে ফেরিওয়ালারা এসব বেত ও বাঁশ শিল্প তৈরি পণ্য বিক্রিয় করতো। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে এ শিল্পের মূল উপকরণের মূল্য বৃদ্ধিতে বাঁশ ও বেতের সামগ্রীর ব্যয়ও বেশি হচ্ছে। যার কারণে এই শিল্পের কারিগররা তাদের পেশা ধরে রাখতে পারছে না, অন্য পেশায় চলে যাচ্ছে।এতে বিলুপ্ত হতে বসেছে গ্রামবাংলার বাঁশ ও বেত শিল্প। এ কারণে গ্রামের হাটবাজারে বাঁশ ও বেতের তৈরি শিল্প আগের মতো আর চোখে পড়ে না। এই শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পরিবারগুলো মানবেতর জীবনযাপন করছে। 

সঠিক সময়ে রোপণ, প্রয়োজনীয় পরিচর্যা, রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিকল্পনার অভাবে  উপজেলায় উজাড় হয়ে যাচ্ছে বাঁশঝাড়। ফলে এলাকা থেকে বাঁশ-বেত নির্ভর শিল্প এখন হারিয়ে যেতে বসেছে।

সরেজমিনে জানা যায়, একসময় গ্রামের হাটবাজারে বাঁশের তৈরি বিভিন্ন ধরনের হস্তশিল্প বিক্রি হতো। যেমন কুলা, ডালা, টুপরি, কুড়ি চালুন, তালাই টেমাই, টোপা, ঝাঁটা হোঁচা, মই, মাছ ধরার জোলঙ্গা, পলো, দারকি, ধীল, চাঁই, বানা ও বিভিন্ন শৌখিন খেলনা সামগ্রী। এছাড়া, এলাকায় কাঁচা ঘর তৈরিতে বাঁশের খুঁটি, বেড়া, ঘরের দরজা প্রভৃতি উপকরণ ব্যবহৃত হতো।

বাঁশের তৈরি শিল্প বিক্রেতা আব্দুর আলিম (৫৫) বলেন, ‘আগে বাঁশের তৈরি জিনিসপত্র নিজেরা বাড়িতে তৈরি করে বাজারে বিক্রি করেছি, তখন লাভ হতো। কিন্তু এখন তেমন লাভ হয় না। রাত-দিন খেটে যা তৈরি করি হাটবাজারে সে তুলনায় বিক্রি নেই। সরকারিভাবে কোনো সাহায্যে সহযোগিতাও পাচ্ছি না। অনেক দুঃখ কষ্টে দিন কাটছে আমাদের। অভাবের তাড়নায় এপেশার অনেকেই অন্য পেশায় চলে গেছেন। উপযুক্ত কাজ ও অভিজ্ঞতার অভাবে আমরা অন্য পেশায় যেতে পারিনি।’

সবুজ দেওয়ান (৪৫) বলেন, ‘এ পেশা ছেড়ে দিয়ে এখন অটো ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছি। আমাদের গোত্রের দুই-তিনটি পরিবার ছাড়া সবাই পেশা পরিবর্তন করেছেন। একসময় পল্লী এলাকায় বাঁশ ও বেত ঝাড় থাকায় বাঁশের তৈরি শিল্পের প্রচুর ব্যবহার ছিল। কিন্তু আগের মতো এখন বাঁশঝাড় আর বেত চোখে পড়ে না। দুষ্প্রাপ্যতার কারণে একদিকে যেমন গ্রামীণ অর্থনীতির চালিকা শক্তি কুটির শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তেমনি নিঃস্ব হচ্ছে সংশ্লিষ্ট পেশাজীবী পরিবারগুলো।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Rajshahir Somoy

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
টিকা প্রদানে সারাদেশে সবচেয়ে এগিয়ে রাজশাহী বিভাগ

টিকা প্রদানে সারাদেশে সবচেয়ে এগিয়ে রাজশাহী বিভাগ